দেশজ মোট উৎপাদন তথা জিডিপির দিক থেকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। কানাডার অনলাইন প্রকাশনা সংস্থা ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট’ ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এতথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম। ওই তালিকায় মালয়েশিয়া রয়েছে ৩৬তম স্থানে। আর সিঙ্গাপুরের অবস্থান ৩৭।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ আমেরিকা, যার জিডিপির আকার ২৪.৫ ট্রিলিয়ন ডলার, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। দেশটির জিডিপি ১৮.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা জাপানের জিডিপি ৪.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৪৬০ বিলিয়ন ডলার বা ৪৬ হাজার কোটি ডলার। এবারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের মধ্যে ৩৫তম। এর আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪১তম। সে সময় বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৩৯৭ বিলিয়ন ডলার।

ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের পরে রয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার জিডিপির আকার ছিল ৪৩৪ বিলিয়ন ডলার, সিঙ্গাপুরের জিডিপির আকার ছিল ৪২৩ বিলিয়ন ডলার, আর ভিয়েতনামের জিডিপির আকার ছিল ৪১৩ বিলিয়ন ডলার।

তবে বাংলাদেশের আগে রয়েছে অস্ট্রিয়া। দেশটির জিডিপির আকার ছিল ৪৬৮ বিলিয়ন ডলার। এই তালিকায় বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম জিডিপির দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার শুধু ভারত ও বাংলাদেশ রয়েছে।

২০২২ সালে ৩.৪৬ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি নিয়ে যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থান দখল করে নিয়েছে ভারত। তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও জার্মানি।

বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের বাকি পাঁচটি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া ও ইতালি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের মোট জিডিপির অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি, ভারত—এই পাঁচটি দেশের। আরও পাঁচটি দেশকে যদি এর সঙ্গে যুক্ত করা যায়, তাহলে সেরা ১০ দেশের মিলিত জিডিপি হয় বৈশ্বিক জিডিপির ৬৬ শতাংশ, আর বিশ্বের সেরা ২৫টি দেশ বৈশ্বিক জিডিপির ৮৪ শতাংশের অংশীদার।

এছাড়া বিশ্বের বাকি ১৬৭টি দেশের জিডিপির পরিমাণ মাত্র ১৬ শতাংশ, নিম্ন জিডিপির দেশগুলোর বেশির ভাগই ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপদেশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বে দুটি বড় ঘটনা ঘটেছে।

প্রথমত, বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি পার হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিশ্ব অর্থনীতির আকার ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ১০১.৫৬ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট